Welcome to School of Joy!
At the School of Joy, we believe that joy is the foundation of learning. Through patience, dedication, and love, we strive to unlock the potential within each child, so they can confidently achieve their dreams.

আমাদের স্কুলের বৈশিষ্ট্য
অটিজম নিয়ে কিছু কথা
আব্দুল লতিফ
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী, স্কুল পরিচালনা কমিটি, স্কুল অব জয়,
শিক্ষক, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
অটিজম আক্রান্ত শিশু
অটিজম আক্রান্ত শিশু অন্যান্য শিশু থেকে আলাদা। তারা অন্যদের মতো ভাষা জানে না, যোগাযোগ করতে জানে না বা চায় না। সঠিকভাবে কারণ জানা না গেলেও এওটুকু জানা গেছে এটি একটি নিঊরো-ডেভেলাপমেন্টাল ডিসওর্ডার। সাধারনত অটিজম আক্রান্ত শিশুর মধ্যে দুধরনের সমস্যা দেখা যায়। একটি হলঃ ঘাটতি অন্যটি হলঃ আধিক্য।
যে দুঠি দিকে ঘাটতি দেখা যায় সেগুলো হলঃ ১। ভাষাগত ও ২। সামাজিক দক্ষতা আর আধিক্য থাকতে দেখা গেছে – আচরণে।
ভাষাগত ঘাটতি
ক। মৌখিক যোগাযোগঃ শিশুরা ভাষার দক্ষতার অভাবে এ ধরনের যোগাযোগ করতে পারে না।
খ। ভাষা বুঝে নেয়ার ক্ষমতাঃ কথা বুঝে নিতে হলে যে ক্ষমতা দরকার তা এসব শিশুদের থাকে না।
গ। ইকোলেলিয়া (একই শব্দ বা কথা বারবার অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলা)ঃ এসব শিশু একই শব্দ বা কথার অপ্রয়োজনে বারবার বলে থাকে। কেউ কেউ সাথে সাথে বলতে থাকে আবার কেউ কেউ শোনার কিছুক্ষণ পরই শুরু করে। প্রায়ই অপ্রাসঙ্গিকভাবে এসব পুনরাবৃত্তি করে থাকে। ভাবের আদান প্রদানের জন্য করে না। অনেকে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্যই করে থাকে।
কথা বলার সময় যে ছন্দ, স্বরের স্তর, জোর প্রদান, ভলিউম দেয়া হয়ে থাকে ভাবকে অর্থবোধক করার জন্য – সেভাবে তারা বলতে পারে না। তারা আলাপচারিতা চালিয়ে যেতে পারে না তাদের আগ্রহের অভাবে, ভাষার দক্ষতার অভাবে ও বিভিন্ন প্রসঙ্গে যেতে না পারায়।
সামাজিক দক্ষতার অভাব
অটিজম আক্রান্ত শিশুর সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে যেসব ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হলঃ
ক। অমৌখিক যোগাযোগঃ যোগাযোগের অধিকাংশ অংশ জুড়ে রয়েছে অঙ্গভঙ্গি, চোখের যোগাযোগ, মুখের ভাব। এসব শিশুরা তাদের যোগ্যতার অভাবে তা করতে পারে না।
খ। সহপাঠিদের সাথে সম্পর্কঃ সহপাঠিদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে না, কারণ এ ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় অনেক যোগ্যতাই তাদের মধ্যে থাকে না। তাদের মধ্যে যে ভাষার দক্ষতা দরকার তার অভাব ও তাদের শিক্ষার লেভেল আলাদা থাকায় এ সমস্যা হয়ে থাকে।
গ। শেয়ার করার অভিজ্ঞতা (যৌথ মনোযোগের অভাব)ঃ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে আমাদেরকে বিষয়টাকে নির্দেশ করতে হয়, বক্তার দিকে তাকাতে হয় এবং বক্তার ব্যবহৃত ভাষা বুঝতে হয়। অটিস্টিক শিশুরা এগুলো করতে পারে না বলে অভিজ্ঞতা শেয়ার করা বা যৌথ মনোযোগে কাজ করতে পারে না।
ঘ। খেলাধুলা করতে পারাঃ এ ধরনের শিশুদের এ দক্ষতারও অভাব থাকে। তাদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করার জন্য যে যোগ্যতা দরকার তা তাদের নেই। তারা শিশুদের অনুকরণমূলক খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে যে অভিনয়কলার প্রয়োজন তা দেখাতে পারে না। মিছেমিছি বাজার করা, ঘাস দিয়ে রান্না বান্না করা বা পুতুলকে দুধ খাওয়ানোর মতো খেলায় অংশ নিতে পারে না এবং করেও না।
আচরণগত দিকের আধিক্য
অটিস্টিক শিশুর মধ্যে যে দিকে আধিক্য রয়েছে তা হল তাদের আচরণগত দিক। এ দিক দিয়ে তারা অনেকেই হাইপার একটিভ। তারা নিজে নিজেই হঠাৎ করে অধিক মাত্রায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে। হাত পায়ের ছোড়াছুড়ি বা চিৎকার দেয়া শুরু করে। এ ধরনের আচরণ তাদের শিক্ষা ও সামাজিক আচরণে প্রভাব বিস্তার করে।
ছোটখাট অনেক জিনিস যেমন একটি সুতা, রশি, বা খেলনা গাড়ির টায়ার ইত্যাদি নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর অন্য কোন দিকেই খেয়াল থাকে না। সারাদিন হয়তো এই জিনিসটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও হাত থেকে রাখে না।
ক্রোধান্বিত হওয়াঃ এসব শিশুরা ক্রোধান্বিত হয়ে কান্নাকাটি করে, চিৎকার দিয়ে নিজেকে আঘাত করে, অনেকে আবার আক্রমণাত্নক আচরণ করে (অন্যকে আঘাত করে)। কোন শিশু কিছু পাওয়ার জন্য, কোন পরিবেশ থেকে চলে যাওয়ার জন্য অথবা কারো মনোযোগ পাওয়ার জন্য এ ধরনের আচরণ করে থাকে।
অটিজম ম্যানেজমেন্টঃ ABA (Applied Behavior Analysis)
অটিজম ম্যানেজমেন্ট এর প্রধান বহুল প্রচলিত পদ্ধতি হল ABA। এর বিভিন্ন উপাদানগুলো হলো: The Discrete Trial Training (DTT), Natural Environment Training (NET), Prompting, Reinforcement.
অটিস্টিক শিশুকে যত তাড়াতাড়ী ট্রেনিং এর আওতায় আনা যাবে, ততই তার সীমাবদ্ধতাগুলো কমে আসার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে মনে রাখতে হবে এদের সমস্যা কখনো ১০০% কমবে না। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জীবন পরিচালনার একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো শেখানো গেলে, তাতেই অনেক কিছু সম্ভব হয়ে ওঠে।

আমাদের সম্পর্কে: স্কুল অফ জয়
স্কুল অফ জয় অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি নিবেদিত প্রতিষ্ঠান। এখানে আমরা শিশুদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা ও থেরাপি সেবা প্রদান করি, যা তাদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও থেরাপিস্টদের দল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে প্রতিটি শিশুকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়।
আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি শিশু অনন্য এবং তাদের আনন্দময় ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। স্কুল অফ জয়-এ আমরা শিশুদের বিকাশের জন্য কাজ করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আমাদের শিক্ষকবৃন্দ
শিক্ষকবৃন্দ অটিজমে বিশেষায়িত, প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ পেশাজীবী, যারা প্রতিটি শিশুর অনন্য চাহিদা বুঝে তাদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা প্রদান করেন।

সুরাইয়া খানম

দিলারা বেগম

তহুরা তাহসিন

রুপা

আপনার কোন প্রশ্ন আছে?
আমাদের সেবা সম্পর্কে জানতে বা বিস্তারিত আলোচনা করতে চান?